ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও ইন্টারেস্ট রেট, নীতিমালা ইত্যাদি

ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (PLC) সবথেকে জনপ্রিয়। এই লেখাটিতে ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বিভিন্ন সময় আমাদের পারিবারিক ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে লোন গ্রহণের দরকার হয়। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। ইসলামী ব্যাংকের ভাষায় লোন গ্রহণকে “ইনভেস্টমেন্ট” বলা হয়।

ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের লোন সুবিধা চালু করেছে। তবে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ প্রক্রিয়া একটু জটিল। এই জটিল প্রক্রিয়াটিকে সহজভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংকের ভাষায় লোন পদ্ধতিকে “ইনভেস্টমেন্ট” বলা হয়। আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করতে চান তাহলে প্রথমে ইনভেস্টমেন্টের খাত সিলেক্ট করে, আপনার নিকটস্থ Islami Bank branch-এ যোগাযোগ করুন।

ইসলামী ব্যাংকের লোনকে ইনভেসমেন্ট বলার কারণ – অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংকের লোন সিস্টেম আলাদা। এরা মূলত আপনাকে ব্যবসার জন্য টাকা প্রদান করবে। যা আপনার ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে গণ্য হবে।

ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের জন্য আপনাকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এবং নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সাধারণত ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনার ইনকামের উপর ভিত্তি করে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যেটাকে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ইসলামী ব্যাংক আখ্যায়িত করে।

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার যোগ্যতা ও নীতিমালা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনাকে কিছু নীতিমালা মেনে ইসলামী ব্যাংক লোন (ইনভেস্টমেন্ট) এর জন্য আবেদন করতে হবে।

  • আবেদনকারীকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে তথা আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • অবশ্যই আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারীর ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ও ব্যাংকের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।
  • আবেদনকারীর শিক্ষা সনদ, চাকরির ডকুমেন্টস, ব্যবসার কাগজ অথবা জমির দলিল প্রয়োজন হবে।
  • ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ডকুমেন্টস গুলো BCS ক্যাডার দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।
  • এছাড়াও ইনভেস্টমেন্টের ভিন্নতায় ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে।

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট তথা লোন গ্রহণের জন্য নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

  • প্রথমে আপনার চাহিদা অনুযায়ী লোনের ধরন নির্বাচন করুন।
  • তারপরে আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হন। নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক শাখা কোথায় আছে তা জানতে গুগলে গিয়ে “Islami Bank branch near me” লিখে সার্চ করুন। Google আপনার নিকটস্থ সকল ইসলামী ব্যাংকের লোকেশন জানিয়ে দিবে।
  • তারপরে ব্যাংক ব্রাঞ্চে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে লোন সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • ব্যাংকে উপস্থিত হওয়ার আগে আপনার সেলারি স্টেটমেন্ট অথবা ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রমাণ করে, এমন ডকুমেন্টস সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
  • পরবর্তী ধাপ আপনাকে ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়ে দিবে।

ইসলামী ব্যাংক কত টাকা লোন প্রদান করে

ইসলামী ব্যাংক আপনার ইনকামের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করবে। আপনার মাসিক ইনকাম যদি ৫০ হাজারের বেশি হয় তাহলে আপনি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারবেন। এবং একইভাবে যদি মাসিক ইনকাম ৫০ হাজার টাকার কম হয় তাহলে ১০ লক্ষ টাকার কম লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক কত টাকা লোন প্রদান করে তা নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইনকামের ওপর। আপনার মাসিক ইনকাম যত বেশি হবে আপনি তত বেশি টাকা লোন (ইনভেস্টমেন্ট) গ্রহণ করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংকের ঋণের তালিকা

বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি সাধনে ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন খাতে ইনভেস্টমেন্ট (লোন) প্রদান করে। ইসলামী ব্যাংকের ঋণের তালিকা সমূহঃ

  • ইসলামী ব্যাংক হোম লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্য লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক শিল্পখাত উন্নয়ন লোন।
  • ইসলামী ব্যাংক রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লোন।

চলুন ইসলামী ব্যাংকের লোনের তালিকা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই –

সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলঃ ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম।

১.ইসলামী ব্যাংক হোম লোন

পুরনো বাড়ির সংস্থার বা নুতন বাড়ি তৈরির জন্য ইসলামী ব্যাংক হোম লোন প্রদান করে। আপনার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এবং পুরাতন বাড়ি সংস্কারের জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা হোম ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম ইনভেসমেন্ট গ্রহণের জন্য অবশ্যই সচ্ছল ২ জন ব্যক্তি গ্যারান্টার থাকতে হবে। এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। ডকুমেন্টস গুলো হলঃ

  • জমির দলিল এবং খতিয়ান নং।
  • এনইসি।
  • গ্যারান্টার এর কিছু ডকুমেন্টস।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট।
  • খতিয়ান নামধারী রশিদ।

২.ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন

চাকরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে ব্যবসা করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার জন্য ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন প্রদান করে। ব্যবসার খাতকে প্রসার করার লক্ষ্যে এবং নুতন উদ্যোক্তা তৈরিতে, এই ব্যাংকটি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন গ্রহণের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবেঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট।
  • আয়ের উৎস’র প্রমাণপত্র।
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা ছবি।
  • ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যবসার হিসাব।
  • ব্যবসার পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য বাজেট

৩.ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্য লোন

একটি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্য ও চালিকাশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বাংলাদেশের ব্যবসা খাতকে আরো উন্নত করতে এবং ব্যবসায়ীদের কাজে সহযোগিতা করতে ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্য লোন (ইনভেস্টমেন্ট) প্রদান করে।

খুব সহজ শর্তে, অল্প কিছু ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে বাণিজ্য লোন বা ইনভেসমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্য ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি।
  • ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স ও আয় ব্যয়ের হিসাবের ডকুমেন্টস।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দলিল।
  • গ্যারান্টারের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস।

৪.ইসলামী ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং লোন

বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণদের অন্যতম একটি পছন্দের পেশা ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের তরুণরা প্রতি মাসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক রেমিট্যান্স আনে, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার্থে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের আগ্রহ বৃদ্ধিতে ইসলামী ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং লোন প্রদান করে।

ইসলামী ব্যাংক থেকে ফ্রিল্যান্সিং লোন নিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এর পাশাপাশি যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ক্রয় করতে পারবেন। তবে ২ বছরের মধ্যে এই লোন পরিশোধের বিধান রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং লোন গ্রহনের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবেঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং সনদ (যেই প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, সেখান থেকে প্রদত্ত সার্টিফিকেট)
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট এর কপি।
  • যেই প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর ট্রেনিং নিয়েছেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টস।
  • নিজস্ব জমি জমা সংক্রান্ত কাগজপত্র/ দলিল। যার দাম কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা হতে হবে।

৫.ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন

বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আমাদের দেশের কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে, আমরা ভালোভাবে বসবাস করতে পারি। এছাড়াও আমাদের কৃষি পণ্যগুলো বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়।

এই কৃষি সমৃদ্ধ দেশে কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন সিস্টেম চালু করেছে। কৃষি লোন তথা ইনভেস্টমেন্ট এর মাধ্যমে কৃষকরা বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং কৃষি জমি উন্নত করার জন্য লোন পাবে। কৃষি লোন গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • কৃষি জমির দলিল।
  • বর্তমান আয়ের উৎস সংক্রান্ত ডকুমেন্টস।
  • কৃষি ট্রেনিং গ্রহণ করা থাকলে, উক্ত ট্রেনিংয়ের ডকুমেন্টস।

৬.ইসলামী ব্যাংক শিল্পখাত উন্নয়ন লোন

নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে এবং বাংলাদেশের শিল্প খাতে উন্নয়নের জন্য ইসলামী ব্যাংক এস-এমই লোন প্রদান করে। একটি দেশের শিল্পের মান অনুযায়ী ওই দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। ইসলামী ব্যাংক থেকে শিল্প খাতে লোন গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ

  • ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট।
  • ব্যবসার জায়গার দলিল প্রয়োজন হতে পারে।

৭.ইসলামী ব্যাংক রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লোন

আধুনিক বাংলাদেশে বর্তমানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনারা চাইলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারেন। জেনে নিন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি এবং কিভাবে শুরু করবেন

রিয়েল এস্টেট ব্যবসার খাত প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক রিয়েল এস্টেট খাতে লোন/ইনভেস্টমেন্ট প্রদান করে। লোন গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ

  • জমি সংক্রান্ত দলিল ও অন্যান্য ডকুমেন্ট।
  • ব্যবসার মালিকগণের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ও ছবি।
  • ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট।
  • কোম্পানির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও ট্রেড লাইসেন্স।

ইসলামী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট

সাধারণত ইসলামী ব্যাংক লোন বা ইনভেস্টমেন্ট ইন্টারেস্ট রেট শতকরা ৭% থেকে ১৬% রিটার্ন রেট প্রযোজ্য হবে। তবে ইসলামী ব্যাংকের বেশিরভাগ লোনের ইন্টারেস্ট রেট মাত্র ৭% শতকরা। লোন হিসেবে ইন্টারেস্ট রেট পরিবর্তিত হয়।

এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় ইনভেস্টমেন্ট ইন্টারেস্ট রেট পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। তাই লোন নেয়ার পূর্বে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হয়ে ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিবেন।

ইসলামী ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম

ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের পরে, লোন পরিশোধের নিয়ম হল – আপনারা একসাথে ইসলামী ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে পারেন। এটা নির্ভর করবে আপনি কোন খাতে লোন নিচ্ছেন এবং কত টাকা লোন নিচ্ছেন তার উপরে।

ব্যাংক থেকে লোন গ্রহনের পূর্বে লোনের খাত নির্ধারণ করে লোন পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে জেনে নিবেন।

ইসলামী ব্যাংক লোন সুবিধা

  • লোনের জন্য আবেদনের অল্প কিছুদিনের মধ্যে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
  • এছাড়াও বিভিন্ন খাতে আলাদা ভাবে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
  • বড় এমাউন্টের টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
  • লোনের টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে রয়েছে দারুণ সুযোগ।
  • মাত্র ৭% হারে ইন্টারেস্ট রেট প্রদানের সুযোগ।
  • খাত অনুযায়ী ডকুমেন্টস প্রদান করে লোন গ্রহণের সুযোগ।

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক ইনভেসমেন্ট তথা লোন গ্রহণকারীদের আরো অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।

সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলঃ ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম।

শেষকথা

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশাকরি ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি ব্যবসার কাজে অথবা নতুন বাড়ি তৈরিতে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে, কৃষি কাজে লোন প্রয়োজন হয় তাহলে খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারেন।

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করে। লোন গ্রহনের জন্য অবশ্যই আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করবেন। প্রতারক চক্রের মাধ্যমে লোন গ্রহণ করতে গিয়ে, বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে পারেন। তাই এই ধরনের প্রতারক চক্র থেকে দূরে থাকবেন।

FAQs

ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দেয়?

হ্যাঁ দেয়, লোন নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কারণ উপস্থাপন করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

আবেদনের কতদিন পরে লোন পাওয়া যায়?

আনুমানিক ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লোন গ্রহন করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করলে, ব্যাংক এগুলো যাচাই-বাছাই করবে। তারপরে সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে লোনের টাকা প্রদান করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *