সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম ও সুদ, কিস্তি, লোন সমূহ দেখুন

এই লেখাটিতে সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম ও সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট, সোনালী ব্যাংক লোনের কিস্তি, সোনালী ব্যাংক লোন ফরম, এবং লোন নিতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক বেশ জনপ্রিয়। তারা দীর্ঘ সময়ে ধরে বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করে আসছে।

এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাতে খুব সহজ শর্তে লোন প্রদান করে। আজকের লেখাটিতে আমরা সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম এবং সোনালী ব্যাংকের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি লেখাটি আপনার জন্য খুবই ইনফরমেটিভ হতে যাচ্ছে।

সোনালী ব্যাংক লোন

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই ব্যাংকটি বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করে আসছে। বিশেষ করে এই লোনগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক শিক্ষা লোন ও সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন অন্যতম।

এছাড়াও এই ব্যাংকটি শিক্ষক ও চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা খাতে লোন প্রদান করে। সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি চালু আছে। এছাড়াও এই ব্যাংকের আরো অনেক লোন খাত আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ Sonali Bank branch-এ যোগাযোগ করুন। ব্যাংক শাখা থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে, প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করে ফরমটি পূরণ করুন।

তারপরে ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে পুনরায় ব্যাংক শাখায় জমা করুন। ব্যাংক আপনার প্রদান করা সকল তথ্য যাচাই বাছাই করে এর সত্যতা ভেরিফিকেশন করবে। পরবর্তীতে লোন দেয়ার যোগ্য মনে হলে ব্যাংক থেকে আপনাকে জানানো হবে।

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য অবশ্যই একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন। লোন নেয়ার পূর্বে এই ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি একাউন্ট করতে হবে এবং গ্যারান্টারকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তথা মেম্বার হতে হবে।

সোনালী ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সাধারণত লোনের প্রকারভেদ হিসেবে ডকুমেন্টস ভিন্ন হতে পারে। তবে সকল লোনের ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন।

  • আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট।
  • আবেদনকারীর ছবি প্রয়োজন হবে।
  • আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
  • স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হতে হবে।
  • লোন গ্রহনের জন্য পর্যাপ্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।
  • অবশ্যই একজন সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে গ্যারান্টার হতে হবে।
  • আবেদনকারী ও গ্যারান্টারকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  • যথাযথভাবে লোন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

বিশেষ দৃষ্টব্যঃ সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার পূর্বে অবশ্যই ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে আপনার লোনের খাতের উপর নির্ভর করে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা ভালোভাবে জেনে নিবেন।

সোনালী ব্যাংক লোন সমূহ

বর্তমানে বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক পিএলসি (PLC) বিভিন্ন খাতে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে। চলুন সোনালী ব্যাংক কি কি খাতের লোন প্রদান করে জেনে নেই।

  • সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন।
  • সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন।
  • সোনালী ব্যাংক শিক্ষা লোন।
  • সোনালী ব্যাংক শিক্ষক ও চাকরিজীবী লোন কর্মসূচি।
  • প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প।
  • ফরেন এডুকেশন ঋণ প্রকল্প।
  • সরকারি ভাতা অথবা শুধুমাত্র প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মেয়াদী ঋণ। 
  • ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঋণ।
  • বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন

সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন ১০,০০,০০০ টাকা পাওয়া যাবে। এই লোন সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়, শুধুমাত্র যাদের বেতনের টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা হয় তারা এই লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য। বিশেষ করে সরকারি ও আধা সরকারি কোম্পানির কর্মকর্তাগণ।

মালিকানাধীন ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির কর্মকর্তারা। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুবৃন্দ যাদের চাকরির মেয়াদ এলপিআর সহ ৫ বছর আছে। এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসার, স্থায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীগণ। মূল কথা যাদের চাকরি পার্মানেন্ট হিসেবে ধরা হয়।

জানতে পারেনঃ সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে সকল তথ্য।

আপনার অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে জমা করা বেতনের টাকার পরিমাণ ঋণের কিস্তির থেকে কম অথবা সমান হলে, আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে সেই পরিমাণের দুই-তৃতীয়াংশ লোন নিতে পারবেন। লোন গ্রহণের পর সোনালী ব্যাংক চাইলে সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন গ্রহনের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজনঃ

  • আবেদনকারীর ছবি এবং তার ভোটার আইডি কার্ড।
  • গ্যারান্টার এর ছবি ও তার ভোটার আইডি কার্ড।
  • বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রীর ছবি ও আইডি কার্ড প্রয়োজন হতে পারে।
  • আবেদনকারীর ও গ্যারান্টার এর স্বাক্ষর করা একটি Blank চেক।
  • আপনার সঞ্চয় দেখানো যেকোনো ১টি নথি প্রদান করতে হবে।
  • এমপিও ভুক্ত চাকরি হলে, এমপিওর কপি প্রয়োজন।
  • অবশ্যই আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

এছাড়াও যদি কোন ধরনের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় তা ব্যাংক থেকে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। সোনালী ব্যাংকে আপনি ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যার মেয়াদ হবে ১ থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত।

শিক্ষক এবং চাকরিজীবীদের জন্য লোন

শিক্ষক ও চাকরিজীবীদের জন্য সোনালী ব্যাংক নিয়ে এসেছে বিশেষ লোন সুবিধা। আপনি যদি স্বল্প বেতনে শিক্ষকতা চাকরি করেন অথবা অন্য কোন চাকরি করেন, তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে স্বল্প বেতনের লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

এই খাতে যেকোনো ব্যক্তি ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবে। মার্জিন হলো ঋণসীমার ২০ শতাংশ। শিক্ষক ও চাকরিজীবীদের জন্য এই লোন ১২% সুদহারে লোনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।

এই লোনের ক্ষেত্রে পার্সোনাল লোন এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন, একই ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। বিস্তারিত জানতে আপনার নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন

এই লোন সেবা নিতে পারবেন বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং সরকারী/বেসরকারী (এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়)-এর শিক্ষকবৃন্দ। এই লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং এলপিআরে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরির মেয়াদ থাকতে হবে।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের মার্জিন রেট ২০%। এই খাতে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এই ঋণের সুদের হার ১২%, যা পরিবর্তনযোগ্য। স্যালারি লোনের মেয়াদ ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত। পার্সোনাল লোনের মত স্যালারি লোনে একই ডকুমেন্টস প্রয়োজন।

সোনালী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী

সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর আওতায় আপনারা লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এই খাতে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মেয়াদ থাকবে। মার্জিন ঋণ সীমার ২০ শতাংশ।

সাধারণত সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করা হয়। যেমনঃ

  • কৃষি পণ্যের বিপণন।
  • পার্সোনাল কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার ক্রয়।
  • সাইকেল অথবা মোটরসাইকেল ক্রয়।
  • সেলাই মেশিন, এমব্রয়ডারি মেশিন অথবা সুয়েটার বুনন মেশিন ক্রয়।
  • সবজি বাগান বা নার্সারি স্থাপন।
  • শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ।
  • ক্ষুদ্র ব্যবসায় ইনভেস্ট।
  • বায়োগ্যাস প্লান্ট অথবা সৌরশক্তি প্লান্ট স্থাপন।
  • হাঁস-মুরগি পালন, মাছ উৎপাদন ও গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প।
  • মৌসুমী ফসল মজুদ।
  • বিবিধ আয় বর্ধক বৈধ কার্যক্রম।
  • ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর, টিভি, ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি ক্রয়।

এছাড়াও আপনারা সোনালী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন খাতে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। Special Small Credit Scheme থেকে এই ঋণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।

বিশেষ দৃষ্টব্যঃ অন্যান্য সকল খাতের লোনের তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানা যায়নি তাই এখানে উল্লেখ করা হলো না। আপনারা সরাসরি সোনালী ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে অন্যান্য লোনের তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

  • লোন গ্রহণের জন্য প্রথমে আপনি কি টাইপের লোন গ্রহণ করতে চান সেটা নির্ধারণ করতে হবে।
  • এরপরে উক্ত লোনের জন্য আপনি যোগ্য কিনা এটা বিবেচনা করতে হবে।
  • তারপরে লোন গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলোর সংগ্রহ করতে হবে।
  • নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করবেন।
  • লোন আবেদনের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে এবং একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে।
  • প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে লোন আবেদন ফরমটি পূরণ করে, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা করুন।
  • ব্যাংক আপনার আবেদনটির যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে লোন প্রদান করবে।

সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট

সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট তথা সুদের হার মাত্র ১২%, তবে ব্যাংকের নিয়ম-কানুন অনুযায়ী যেকোনো সময় কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট পরিবর্তন করতে পারে। এই সম্পর্কে ব্যাংক আপনাকে যথাযত তথ্য প্রদান করতে পারবে।

সোনালী ব্যাংক লোনের কিস্তি

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রাহনের পরে প্রতিমাসে কত টাকায় কিস্তি দিতে হবে তা আপনাকে ব্যাংক থেকে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। সাধারণত লোনের এমাউন্ট ও লোনের মেয়াদের উপর নির্ভর করে কিস্তি নির্ধারণ করা হয়।

আপনারা লোন গ্রহনের পূর্বে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের থেকে এই সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক লোন ফরম

সোনালী ব্যাংক থেকে যেকোন খাতে লোন গ্রহনের জন্য অবশ্যই লোন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আপনারা মূলত দুইভাবে এই লোন ফর্মটি সংগ্রহ করতে পারেন। প্রথমত সরাসরি ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে, ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে লোন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।

অথবা সোনালী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লোন আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। loan form download এর উপর ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপাতত অনলাইন থেকে লোন ফরম ডাউনলোড পদ্ধতি বন্ধ আছে। আপনারা একটু কষ্ট করে নিকটস্থ ব্যাংক শাখা থেকে ফর্মটি সংগ্রহ করে নিবেন।

সোনালী ব্যাংক লোন ফরম পূরণ

ফরমের মধ্যে থাকা যথাযথ সকল তথ্য উল্লেখ করে এই ফর্মটি পূরণ করতে হবে। তবে ফরম পূরণের সময় খেয়াল রাখবেন কোন ধরনের কাটাচিরা করা যাবে না। এবং ফরমে থাকা সকল তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।

আপনার ডকুমেন্টস গুলোর সাথে মিল রেখে তথ্যগুলো উল্লেখ করতে হবে। লোন ফরমে ভুল তথ্য উল্লেখ করলে, আপনার লোন আবেদন পত্রটি বাতিল হতে পারে।

সোনালী ব্যাংকের নাম পরিবর্তন

গত ১৪ই মে রোজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর নাম পরিবর্তন করে সোনালী ব্যাংক পিএলসি রাখা হয়। বর্তমানে এই ব্যাংকটি সোনালী ব্যাংক পিএলসি হিসেবে পরিচিত। সোনালী ব্যাংকের নাম পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।

শেষকথা

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আশাকরি সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম এবং সোনালী ব্যাংক লোন সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য জানতে পেরেছেন। এই তথ্যগুলো আমরা ব্যাংক হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করেছি।

তবে উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলোর মধ্যে যেকোনো তথ্য ব্যাংক যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারে। তাই লোন নেয়ার ডিসিশন নেওয়ার পরে সরাসরি ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে উক্ত লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

FAQs

সোনালী ব্যাংক লোনের সুদের হার কত?

সাধারণত সকল লোনের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক লোনের সুদের হার ১২ শতাংশ তথা ১২%। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী লোনের সুদের হার পরিবর্তন যোগ্য।

আমি কি সোনালী ব্যাংকে লোন গ্রহনের জন্য যোগ্য?

এটা আপনাকে নিজেকে বিবেচনা করতে হবে, উপরের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি দেখলে আশা করি আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের যোগ্য কিনা এটা বিবেচনা করতে পারবেন।

Similar Posts

5 Comments

  1. Md. Mostafizur Rahman biplob says:

    ‌লোন নি‌তে চাই

    1. সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য এই লেখাটিতে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন। লোন নেয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন এবং কোন উপায়ে লোন গ্রহণ করবেন সে সম্পর্কে জেনে আপনার নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে লোন গ্রহন করতে পারবেন।

      1. Naimun jannat says:

        প্রবাসীরা কি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে

        1. সম্ভবত না। তবে প্রবাসীর ফ্যামিলির মধ্যে যারা দেশে বসবাস করে তারা চাইলে লোন গ্রহণ করতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য লোন গ্রহণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সুবিধা প্রদান করে। জানতে পারেন – প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম।

  2. আনিসুর রহমান রিয়াদ says:

    আমি 2লাখ টাকা লোন নিতে চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *