বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় | bkash loan app download

গ্রাহকদের জন্য বিকাশ নিয়ে আসলো দারুন একটি সুখবর। এখন যে কেউ বিকাশ থেকে খুব সহজেই ৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা লোন নিতে পারবে। কোন ধরনের জামানত ও ডকুমেন্ট ছাড়াই এই লোন নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেই বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে।

বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের জন্য শুধুমাত্র আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে, যেই বিকাশ একাউন্টে আপনি প্রতি মাসে কম-বেশি লেনদেন করেন। বর্তমানে এই সেবাটি শুধুমাত্র বিকাশের নিয়মিত গ্রাহকদের জন্য চালু আছে।

আপনি যদি বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কোন ধরনের জামানত ও কাগজপত্র ছাড়াই বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ সিটি ব্যাংক কর্তৃক এই সেবাটি বিকাশের মাধ্যমে চালু করা হয়। চলুন বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে Google PlayStor থেকে Bkash অ্যাপ ডাউনলোড করে, অ্যাপস এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে Loan অপশনে গিয়ে সব শর্তগুলো দেখে “সম্মতি দিন” বাটনে ক্লিক করুন।

তারপরে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার প্রদান করে কিছু সময় ট্যাপ করে ধরে রাখুন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে লোনের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে যোগ হবে। বিকাশ থেকে লোন নেয়ার সম্পূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বিকাশ লোন সম্পর্কিত সাধারণ কিছু তথ্য

লোনের মেয়াদ৩ মাস
লোনের পরিমাণ৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা
লোন প্রসেসিং ফি০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)
সুদের হার৯% বাৎসরিক
লোন পরিশোধে বিলম্ব ফি২% বাৎসরিক
সুদ গণনাদৈনিক

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র আপনার একাউন্টটি পরিপূর্ণভাবে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) ভেরিফিকেশন হলে হবে। তবে লোন গ্রহণকারীকে অবশ্যই Bkash অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা দীর্ঘদিন ধরে Bkash অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লেনদেন করে চলেছেন এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) সম্পন্ন করেছেন, তারা শুধুমাত্র এই লোন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

যারা শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্টার করেছেন, কিন্তু কোন ধরনের বায়োমেট্রিক প্রদান করে ভেরিফিকেশন করেননি তারা এই লোন সুবিধার বাহিরে থাকবেন। শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ও দীর্ঘদিন Bkash অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সুবিধাটি পাবে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

এটা যাচাই করার জন্য সরাসরি বিকাশ অ্যাপসে প্রবেশ করে “লোন” অপশনে প্রবেশ করুন। যদি লোন গ্রহনের যোগ্য না থাকেন সেক্ষেত্রে “দুঃখিত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার বিকাশ একাউন্ট এখনো লোন সার্ভিসের উপযুক্ত নয়” এরকম লেখা থাকবে।

আপনার বিকাশ একাউন্ট যদি বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড হয়ে থাকে এবং আপনি অনেকদিন ধরে বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য।

গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলঃ বিকাশ সিম হারিয়ে গেলে করণীয় কি।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম

সহজে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

Step 1: যদি বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করা না থাকে তাহলে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপসটি ডাউনলোড করে আপনার একাউন্ট লগইন করে নিন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

Step 2: এরপরে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করে “লোন/Loan” অপশনে প্রবেশ করুন। তারপরে আপনাদের ব্যবহারযোগ্য লোন লিমিট দেখাবে, তথা আপনি কত টাকা লোন নিতে পারবেন তা দেখাবে। এখান থেকে পরবর্তী ধাপে যেতে “লোন নিন” বাটনে ক্লিক করুন।

Step 3: এরপরে আপনাদের সামনে লোন পরিশোধের সময়সীমা দেখাবে। বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের এই ন্যানো লোন সার্ভিসটির সময়সীমা ৩ মাস হয়ে থাকে। এখান থেকে পরবর্তী ধাপে যেতে “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

Step 4: তারপরে লোনের সময়সীমা, লোন পরিষদের তারিখ, চার্জ, লোন প্রদানকৃত প্রতিষ্ঠান, মোট পরিশোধযোগ্য এমাউন্ট, ইন্টারেস্ট রেট সহ লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য দেখাবে। একটু নিচে কত তারিখে লোনের উপর নির্ভর করে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখাবে। এখান থেকে সকল তথ্যগুলো পুনরায় চেক করে “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন।

Step 5: তারপরে বিকাশ অটোমেটিক ভাবে কিছু লোন সম্পর্কিত নিয়মাবলী ও রিকোয়ারমেন্ট দেখাবে, এগুলো ভালোভাবে দেখে “সম্মতি দিন” বাটনে ক্লিক করুন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

Step 6: এই ধাপে আমাদের লোন সম্পর্কিত বাকি বিস্তারিত তথ্য গুলো দেখাবে, সবকিছুতে সম্মতি থাকলে আমাদের বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে, ট্যাপ করে ধরে রাখুন।

কিছু সময়ের মধ্যেই অটোমেটিক ভাবে লোনের টাকা আমাদের বিকাশ একাউন্টে যোগ হবে। বিকাশের এই ন্যানো লোন সার্ভিসটি সর্বনিম্ন ইন্টারেস্ট রেটে গ্রহণ করতে পারবেন। এই লোনের টাকা ৩টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। লোন নেয়ার পূর্বে কত তারিখ কিস্তি আছে সেটা দেখা যাবে, কিস্তির তারিখে অটোমেটিক ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স থেকে কিস্তির টাকা কেটে নিবে।

কিস্তির তারিখে যদি আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকে তথা আপনি যদি কিস্তির টাকা সঠিকভাবে পরিশোধ না করেন তাহলে লোন পরিশোধে বিলম্ব ফি বাৎসরিক ২% যোগ হবে।

বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নিন

সম্প্রতি বিকাশ ও বাংলাদেশ সিটি ব্যাংকের উদ্যোগে ন্যানো লোন সার্ভিস চালু হয়েছে। আপনারা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে কোন ধরনের বাড়তি ডকুমেন্টস বা জামানত ছাড়াই এই লোনের সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এই লোনের প্রসেসিং ফি মাত্র ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা তথা ০.৫৭৫% শতাংশ।

১০,০০০ টাকা লোন সম্পূর্ণ ফ্রিতে গ্রহণ করতে উপরে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করুন। তবে এই লোন সার্ভিসটি গ্রহণের জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন নিয়মিত বিকাশ ব্যবহারকারী হতে হবে। বিকাশ শুধুমাত্র তাদের নিয়মিত গ্রাহকদের জন্য এই সেবাটি নিয়ে এসেছে।

অনেকে বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের পরে বিকাশ এপস বন্ধ করে দেয়, আপনারা ভুলেও এই ধরনের কোন কাজ করবেন না। লোনের কিস্তি বকেয়া পড়লে বিলম্ব ফি বাৎসরিক ২% যোগ হবে। এবং সিটি ব্যাংক ও বিকাশ চাইলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। কেননা আমাদের সকল ডকুমেন্টস বিকাশের কাছে জমা থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলঃ বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর।

বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের সুবিধা

  • কম ইন্টারেস্ট রেটে লোন সুবিধা।
  • লোন গ্রহণের জন্য আলাদা কাগজপত্র ও জামানতের প্রয়োজন নেই।
  • ব্যাংক প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)
  • ৩ মাস মেয়াদী লোন।
  • দ্রুত লোনের টাকা আপনাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
  • একাউন্টের ব্যালেন্স থেকে অটোমেটিক কিস্তি পরিশোধ হবে।
  • নির্ধারিত তারিখের আগে কিস্তি প্রদান করতে পারবেন, এতে ইন্টারেস্ট রেট কম হবে।
  • বিলম্ব ফি মাত্র ২%

বিকাশ ঋণের সুদের হার কত

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করলে গ্রহণকারীকে মাত্র ৯% ইন্টারেস্ট বা সুদ প্রদান করতে হবে। লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট) নিয়মিত বিকাশ গ্রাহকরা শুধুমাত্র এই সুবিধাটি পাবে। বিকাশের সাথে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যানো লোন সার্ভিসটি সিটি ব্যাংক পরিচালনা করে।

বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়মাবলি

বিকাশ থেকে লোন গ্রহণের সময় লোন পরিশোধের তারিখ দেখতে পাবেন। উক্ত তারিখে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স থেকে অটোমেটিক লোনের কিস্তির টাকা কেটে নিবে। অথবা আপনারা চাইলে উক্ত তারিখের পূর্বে কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবেন।

নির্ধারিত মেয়াদ এর আগে কিস্তির টাকা জমা দিলে ইন্টারেস্ট রেট কম আসার সম্ভাবনা আছে। যদি নির্দিষ্ট তারিখে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে আপনার লোনের টাকার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ২% বিলম্ব ফি যুক্ত করা হবে।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আশা করি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিকাশের এই ন্যানো লোন সার্ভিসটি শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ও অনেকদিন যাবত বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করে চলেছে, এমন গ্রাহকরা পাবে।

FAQs

বিকাশ লোন পরিশোধ না করলে কি হবে?

বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের পরে লোন পরিশোধ না করলে আপনার তথ্যগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করা হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধান অনুযায়ী বিকাশ ও সিটি ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিকাশ ডিজিটাল লোনের মেয়াদ কতদিন?

বিকাশ ডিজিটাল লোন বা ন্যানো লোনের মেয়াদ ৩ মাস। এই ৩ মাসে আপনাকে ৩টি সমান কিস্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ লোনের টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নেয়া যাবে?

বিকাশ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যাবে। তবে এই সেবাটি শুধুমাত্র নিয়মিত বিকাশ অ্যাপস ব্যবহারকারীরা পাবে।

Similar Posts

4 Comments

  1. আমার কিছু টাকা সাহায্য লাগবে 😭 আমার বিকাশ নাম্বার 01763904943😥

  2. MD Bappy Islam says:

    আমার কিছু টাকা সাহায্য লাগবে 😭 আমার বিকাশ নাম্বার 01758778293

    1. ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *